আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোলার লালমোহনে নির্বাচনি মিছিল থেকে ডিএসবির (ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এসআই কেএম আব্দুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এতে এজাহার নামীয় ১১ জনসহ আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
গত বুধবার রাতে হামলার শিকার ডিএসবির এসআই কেএম আবদুল হক বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলাটি করেন বলে গত বৃহস্পতিবার ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের দেয়া এক বিবৃতিতে এতথ্য জানা গেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এসআই কেএম আবদুল হক গত বুধবার পৌরসভার ৬ নম্বর হাইস্কুল মার্কেটে মাইমুনা ফ্যাশন দোকানের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আক্তার হোসেন শালিক মার্কার কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করার সময় আবদুল হক ফোনে স্থিরচিত্র ধারণ করায় শালিক মার্কার কর্মী-সমর্থক মো. সোহান, মো. রাসেল, মো. আরিফ, মো. নিহাত, মো. রিপন, মো. জিহাদ, মেহেদীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে এবং পুলিশ সদস্যকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন।
এ ছাড়া প্রকাশ্যে খুন ও জখমের হুমকি প্রদান করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। সংবাদ পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কেএম আবদুল হককে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান ভর্তি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মো. সোহান, মো. জিহাদ, মো. রাসেল, মো. নাহিদুল ইসলাম পাপ্পু, মো. ইয়ামিন, মো. আরিফ, মো. নিহাত, মো. শিপন, মো. মেহেদী মুন্সি, মো. তামিম ও মো. ছায়েম। তারা সকলেই পৌরসভার বাসিন্দা। এদের মধ্যে জিহাদ ও ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, মামলার ২নং আসামি মো. জিহাদ ও ৫নং আসামি মো. ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টিএইচ